অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন
“সক্ষম প্রজেক্ট -২৯”
প্রকল্পগ্রহিতা -“মাজেদা খাতুন”
প্রকল্পের বয়স -৫ মাস
মনের মত ভাল কাজগুলো গুছিয়ে করার ইচ্ছে ছিল আমার বহুদিন আগ থেকে কিন্তু সময় আর উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম এর অভাবে টার্গেট করা প্ল্যানগুলোর কারেক্ট এক্সিকিউট হচ্ছিল না।
মাস ছয়েক আগে ফাউন্ডেশনটার একটা প্রজেক্টে চোখ পড়ল।..জামি দ্যা মোস্ট ট্যালেন্টেড বয় প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বললো।.. আমি পুরোটাই বুঝে নিয়ে বললাম.. রাজি… ??
মিটিং শেষে যাবার সময় জামি বললো.. আপু আপনি অন্নেক জোস ??… সেদিন ওরে কিছু বলতে পারি নাই.. আজ বলতেসি… জামি.. তোমার (সরি আপনার) মত সোনার ছেলেরা যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর নেশায় অমন সুপার হিরোর মত দেশের পরিবর্তন এর কথা মুখে না বলে জায়গামত উড়ে যায় তাদের সামনে নিজেকে জোস না “জুস” ই মনে হয় ??
আমি লজ্জিত যে আমি আরো বেশি সময় দিতে চাই কিন্তু আমি পারি না বলে ??
অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের সক্ষম প্রজেক্ট একটি যাকাত সংগ্রহে প্রকল্প। যার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পরিবার কে কর্মমুখী সাহায্য প্রদান করা হয় যাতে সে পরবর্তী বছর হতে নিজে ফিতরা প্রদান করতে সক্ষমতা অর্জন করে।..এভাবে সাহায্য হস্তান্তর করেই ফাউন্ডেশনের কর্ম শেষ নয়.. ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো ছেলেমেয়েগুলো প্রতি মাসে ওই প্রকল্পের আপডেট দিয়ে যাচ্ছে।??
আমি বরাবরই একটু প্রচারবিমুখ।হ্যাঁ… মাঝেমধ্যে আমিও হয়ত ভাল কিছু করার চেস্টা করি।তবে অবশ্যই পরিবার কে জানিয়ে।..তবে এই প্রজেক্ট টা হাতে নিয়েছিলাম কাউকে না জানিয়েই,নট ইভেন মাই হাসবেন্ড (কজ হি নো জ মাই এভ্রিথিং)
আচ্ছা কেমন হয় বলুন তো আপনার যাকাতের টাকা ১০ জন কে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে না বিলিয়ে ১ জন কে এমন ভাবে দান করতে যাতে সে পরবর্তী বছর আপনার কাছে হাত না পেতে হাসিমুখে নিজের অবস্থান টা জানায় ☺☺
আইডিয়া টা আমার ভেতরটা নাড়া দিয়ে যায়।
আমি সাধারনত কাউকে ফোর্স করি না।এই পোস্ট দিয়ে কাউকে কোন কিছু করার আবেদন ও করছি না।প্রতিটা মানুষই তার সৎকর্মে স্বাধীন।… আর আত্নতুষ্টির অন্যতম কারন যদি সৎ ও সরল কাজ হয় তবে ভাল কাজে কেন আপনি পিছিয়ে থাকবেন??হাদীসে কি ভাল কাজের প্রতিযোগিতা করার কথা বলা নেই???
ও হ্যাঁ.. কেবল সক্ষম প্রজেক্ট ই নয়… পথশিশুদের নিয়ে স্কুল পরিচালনায়,বন্যার্তদের ত্রাণ সাহায্য, কম্বল বিতরন, প্রজেক্ট স্মাইল,প্রজেক্ট সেহেরী,প্রজেক্ট নেপাল ইত্যাদি আরো অনেক প্রজেক্টে ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। 🙂
…..এদেশের কিচ্ছুটি হবে না বলে মুখ বাঁকিয়ে পশ্চাদেশ দেখিয়ে না চলেন একবার মুখ ফিরিয়ে ওদের হাত টা একটু ধরি।….পরিবর্তন একলাফে নয় ধীর পায়েই হোক… তবু হোক।
আর হ্যাঁ.. আজ যখন আমার প্রজেক্ট আপডেটগুলো বাসায় ডেলিভারি দিচ্ছিল তখন আসমিতের বাবা শুনতে পেয়েছিল।…লেটার টা দেখে আমার দিকে খুব অদ্ভূত ভাবে তাকিয়ে বলল.. “তুমি অনেক বড় হয়ে গেছে”… সেই চাউনিতে আমি আমার জন্য কেবল শ্রদ্ধা খুঁজে পেয়েছি…. 🙂
জীবন অনেক সুন্দর আপনার সেই সুন্দর জীবনের একটু আলো এই পৃথিবীর অন্যান্য মানুষগুলোর জন্যও বরাদ্ব থাকুক।
— Priyashree Alam
Donor, SHOKKHOM Project